বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে জানিয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, সুন্দরবন আমাদের প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করে।এই বনকে রক্ষায় আমরা বদ্ধ পরিকর। এজন্য সুন্দরবন কেন্দ্রিক যে কোন ধরণের অপরাধ বন্ধে আমরা কঠোর নির্দেশনা জারি করেছি। তাই বন বিভাগের লোকদের পাশাপাশি কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমসহ স্থানীয় জনগনকে এই সম্পদ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা মাছ শিকার করছে। এটি প্রতিহত করতে না পারলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ ধংবস হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ অচিরেই হারিয়ে যাবে। সাথে সাথে বিষের ছোবলে ক্যানসারের ঝুুকি বাড়াসহ নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়বে আগামী প্রজন্ম।তিনি সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান। বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলে ও তিনি জানান।

তিনি ১১ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০ টায় খুলনার কয়রায় কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কার্যালয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সুন্দরবন কেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতা কমাতে কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরসি) ও বন ফাঁড়ির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় কমিউনিটি পেট্রোলিং সদস্যরা সুন্দরবনের অসাধু জেলে ও দুষ্কৃতকারী ও সিন্ডিকেট দের বিরুদ্ধে কথা ও পদক্ষেপ নিলে তাদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা, হুমকি ও প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরলে তিনি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

এসময় তিনি বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুন্দরবনের নদ-নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরা রোধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার গুরুত্বারোপ করেন। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পেট্রোলিং গ্রুপের সদস্যদের সুন্দরবন রক্ষার কোন কাজে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা কোন হুমকি ও কোন ধরণে বাধার সম্মুখীন হলে তাকে সাথে সাথে জানানোর কথা বলে তিনি বলেন, মানুষের অজ্ঞতা এবং প্রয়োজনে আমরা আমাদের বনজ সম্পদের যে ক্ষতিসাধন করেছি তা’ অপূরণীয়। এখন আমাদের সবার উচিৎ ক্ষতি যাতে আর না হয় সে ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বনজ সম্পদ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা সাথে সাথে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ রায়,বজবজা ফাঁড়ির ওসি সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রী, শাকবাড়িয়া ফাঁড়ির ওসি আব্দুর সবুর মোল্যা, খাসি টানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান, আন্দার মালিকের ওসি মো. বেল্লাল হোসেন, সিপিজি সদস্য খগেন্দ্রনাথ গাঈনসহ কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ এর সদস্য,ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এর সদস্য,সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2113 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …