এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি রাখা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) থেকে ডিমের বাজারে অস্থিরতার অবসান হবে, বলে এ সময় জানান তিনি।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট, ডিলার ও খুচরা-পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
সভায় খামার থেকে শুরু করে ডিম বিক্রির প্রতিটি ধাপে পাকা রশিদ রাখার নির্দেশ দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান জানান, এখন থেকে উৎপাদকপর্যায়ে ডিম বিক্রয়ে দামের তথ্য নেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাকা রশিদ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে কোনোভাবেই ডিম ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক ধরে অস্থির ডিমের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে এক ডজন ডিমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ঠেকেছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রতিটি ডিম ১২ টাকা দরে, ডিমের হালি ৪৮ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। ব্যবসায়ীদের এটি স্পষ্ট জানানো হয়েছে। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ হলে ১২ টাকায় বিক্রি হলে উৎপাদকরা অনেক লাভ করতে পারবেন।
সেসময় তিনি বলেন, অতিরিক্ত মুনাফা করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে। কেউ অন্যায্য লাভ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।