ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), খুলনা শাখার উদ্যোগে ‘খুলনার পরিবেশ প্রকৃতি : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নগরীর পূর্বাঞ্চল ডায়ালগ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক (অব.) প্রদীপ কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী অ্যাড. মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।
প্যানেল আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুর আলম শেখ, হুমায়ুন কবির সুমন, দৈনিক কালের কণ্ঠ এর স্টাফ রিপোর্টার কৌশিক দে বাপী।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) খুলনা মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, কবি সৈয়দ আলী হাকিম, কবি আবু আসলাম বাবু, আইআরভি’র মেরীনা যুঁথি, বাসদ নেতা কোহিনুর আক্তার কণা, রূপসা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিরণ¥য় ম-ল, খ ম শাহীন হোসেন, প্রধান শিক্ষক সাঈদা পারভীন, অ্যাড. শাহারা ইরানী পিয়া, যুব ইউনিয়নের মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, আয়কর আইনজীবী এম হানিফ হোসেন, কবি নাজমুল তারেক তুষার, এস এম এ রহিম, রকিব উদ্দীন ফারাজী, ডা. এস এম হক, খন্দকার মো. কবিরুজ্জামান বাপ্পী, গাজী আব্দুল্লাহ আল (লালী), সৈয়দ লুৎফুল হক মিঠু, মুজিবুর রহমান, নাফিছা ইসলাম (সুমা), সৌমিত্র সৌরভ, সংগ্রাম ভদ্র, রবি সরকার প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে বার বার পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি তোলা হলে ও নীতি নির্ধারণীমহল থেকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হলেও বাস্তবে তা অনুপস্থিত। পরিবেশ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারলে কোনো উন্নয়নই মানুষের কাজে আসবে না বরং তা গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে। ইতোপূর্বে নির্মিত অপরিকল্পিত উপকূলীয় ভেড়িবাঁধ এবং স্লুইস গেট, গাছ কেটে রাস্তা-ভবন নির্মাণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বক্তারা এ অঞ্চলের মৃতপ্রায় নদনদীগুলো রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। সাথে সাথে খাল জলাশয়ের শ্রেণি পরিবর্তন না করে এবং লীজ প্রথা বন্ধ করে এগুলো সুরক্ষার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় খুলনা নগরীর প্রাকৃতিক ২২ খাল পুনরুদ্ধার, পুকুর-জলাশয় ভরাট বন্ধ, সাধ্যমত নতুন পুকুর-জলাশয় সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং মশার উপদ্রব কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। নগরীর সোনাডাঙ্গা-নতুন রাস্তা বাইপাস সড়কের গাছ কেটে সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের সমালোচনা করে বক্তারা বিদ্যমান গাছগুলো রক্ষা করে গৃহীত প্রকল্পের সাথে সমন্বয় করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড। এটি বন্ধ না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ-প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্টকারী অশুভশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।