মো. এমদাদুল হক (পাবনা) : সারা দেশের ন্যায় এবারও পাবনা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইঁদুর নিধন অভিযান- ২০২৩ উদযাপন হয়। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর () সকাল ১০ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খমাারবাড়ি হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
ইঁদুর নিধন অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য “ইঁদুরের দিন হবে শেষ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ’’। এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জেলা প্রশাসক পাবনার সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দীন এর সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফ আহম্মেদ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, “ইঁদুরের দিন হবে শেষ গড়বো সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সময় উপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন। সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিষ্ঠার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইঁদুর নিধনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া পদক্ষেপগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে ।
অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপকালে বলেন, ইঁদুর প্রাণীটি অতি ক্ষুদ্র হলে কি হবে, এদের ঘ্রাণ, আস্বাদন ও শ্রবণ শক্তি অতি প্রবল। ইঁদুর মাঠের ফসল ছাড়াও গুদামজাত শস্য ঘরের মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবপত্র, কারেন্টেটের তার, বেড়িবাঁধসহ প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসপত্র নষ্ট করে থাকে। কাজেই এদের সম্মিলিতভাবে দমন করতে হবে।
উক্ত সভার সভাপতি কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ইঁদুর বাংলাদেশের প্রায় ৫-৭ শতাংশ ধান এবং ৪-১২ শতাংশ গম নষ্ট করে থাকে এছাড়াও বাসাবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এদের প্রজনন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশী। এরা অল্প বয়সে যে কোন পরিবেশে বাচ্চা দিতে পারে। ১ জোড়া প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুর বছরে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে। ফসল ও সম্পদের ক্ষতি রোধ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশের স্বার্থে ইঁদুর সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্ষেত-খামার, বসতবাড়িসহ সর্বত্র ইঁদুরমুক্ত করার লক্ষ্যে ইঁদুর দমন অভিযান সফল করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে উপস্থিত সুধীজনদের অনুরোধ জানান।
উক্ত ইঁদুর নিধন অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাধারণ শাখা, প্রবাসী কল্যাণ শাখা এবং ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শাখার লুৎফুন নাহার শারমীন, পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাহানা পারভীন লাবনী, পাবনা কৃষি তথ্য সার্ভিসের সহকারী তথ্য অফিসার কৃষিবিদ মোঃ খালেদীন আনাম ও পাবনার জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিকসহ কৃষক/কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।