আসাদুল্লাহ (ফরিদপুর) : ইঁদুর নিধন অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য “ইঁদুরের দিন হবে শেষ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ’’। এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইঁদুর নিধন অভিযান- ২০২৩ উদযাপন হয়। এ উপলক্ষে সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খমাারবাড়িতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুরের প্রশাসক জেলা মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ এর সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক, মো. হারুন-অর-রশিদ।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম তিনি বলেন ইঁদুর প্রাণীটি অতি ক্ষুদ্র হলে কি হবে, এদের ঘ্রাণ, আস্বাদন ও শ্রবণ শক্তি অতি প্রবল। ইঁদুর মাঠের ফসল ছাড়াও গুদামজাত শস্য ঘরের মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবপত্র, কারেন্টেটের তার, বেড়িবাঁধসহ প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসপত্র নষ্ট করে থাকে। কাজেই এদের সম্মিলিতভাবে দমন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, “ইঁদুরের দিন হবে শেষ গড়বো সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সময় উপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন। ইঁদুর বাংলাদেশের প্রায় ৫-৭ শতাংশ ধান এবং ৪-১২ শতাংশ গম নষ্ট করে থাকে এছাড়াও বাসাবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এদের প্রজনন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশী। এরা অল্প বয়সে যে কোন পরিবেশে বাচ্চা দিতে পারে। ১ জোড়া প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুর বছরে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে। সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিষ্ঠার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইঁদুর নিধনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া পদক্ষেপগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।
উক্ত ইঁদুর নিধন অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা/উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিকসহ কৃষক/কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।