পাবনা সংবাদদাতা: গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায়, সিরাজগঞ্জ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) এর আয়োজনে আগামী ৭-১০ ডিসেম্বর ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার (এমএসটিএল) এর আগমন ও কর্মসূচীর আওতায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ৫০ জন কৃষক কে মাটির নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবহার, মাটির স্বাস্থ্য ও পুষ্টি এবং ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর। এছাড়া প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ এ, কে, এম মফিদুল ইসলাম, কামারখন্দ উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রতন চন্দ্র বর্মন। প্রশিক্ষণের মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন সিরাজগঞ্জের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: নায়মুল হাসান। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকেরা বলেন, কেউ ভাল ফলন পেতে চাইলে মাটিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে হবে। আর জানার একমাত্র উপায় মাটি পরীক্ষা করা আর সে অনুসারে ফসল নির্বাচন করে চাষাবাদ করা। বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সারের ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। মাটি পরীক্ষা করে মাটির স্বাস্থ্য জানার পর সঠিক পরিমান সারের ব্যবহারে অর্থের সাশ্রয় হবে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। মাটি পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের সঠিক পদ্ধতি অনুসরন না করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। এক বিঘা পরিমান জমিতে ১০-১২টা স্থান নির্বাচন করতে হবে। জমির আইল থেকে ২ হাত ছেড়ে স্থান নির্বাচন করতে হবে, সদ্য ব্যবহৃত জৈব বা অজৈব সার যে জমিতে দেয়া হয়েছে, সেখানকার মাটি পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা যাবে না। ১০/১২টি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করে মিশিয়ে নিতে হবে। মাটি বেশি আর্দ্র হলে শুকিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম মাটি পরীক্ষার জন্য প্রদান করতে হবে। এরপর পলিথিনের প্যাকেটে মাটি ভরে কাগজে জমির পরিচিতি, কৃষকের নাম ঠিকানা, কোন ফসল ছিল, কি ফসল চাষ করবেন তা জানালে, এই মাটির পরবর্তী চাষকৃত ফসলে কি পরিমান কি কি সার লাগবে তা জানা যাবে। এছাড়া মাটি পরীক্ষার কালাকৌশলসহ ভেজাল সার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।