মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী): রাজশাহী’তে ২০২৪-২৫ সনে খরিপ-১ মৌসুমের কর্মপরিকল্পনা এবং গুণগত মান সম্পন্ন কৃষি ও দেশে তৈল, পেঁয়াজ ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জেলা কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও কৃষকদের অংশ গ্রহণে গত রবিবার (১০ ডিসেম্বর) কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে সভার আয়োজন করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার উম্মে সালমা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো: মোস্তফা কামাল, কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: হারুনুর রশিদ। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন উপজেলার গুণগত মান সম্পন্ন কৃষি ২০২২-২৩ এর ফলাফল ও ২০২৩-২৪কার্যক্রমের সম্ভাবনা এবং সম্প্রসারণে বর্তমান অবস্থা, সামনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোচনা ও বিশ্লেষণমূলক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
সভাপতি বলেন, চলতি মৌসুমে রিলে পদ্ধতিতে সহ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা চলমান রয়েছে। বোরো মৌসুমে ধানের সাথে রিলে পদ্ধতিতে তিল, সরিষা, আলু, পেঁয়াজ সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ বাড়ানোর জন্য উপস্থিত সকল কে অনরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, যে কোন খাদ্যদ্রব্য বিদেশী নির্ভরতা কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, সার সেচে ভর্তুকি দিচ্ছে। তাই কোন জমি ফেলে রাখা যাবে না।
তিনি পেঁয়াজ এবং আলু নিয়ে চলমান অস্থিতিশীল সংকটে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কে সজাগ থাকার কথা বলেন। এছাড়াও মিটিংয়ে উপস্থিত কর্মকর্তারা কৃষির আরো উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে মত বিনিময় করেন।