বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

উত্তম কৃষি চর্চা (এঅচ) অনুশীলন ও বাস্তবায়নের জন্য পাবনায় সম্বনয় সভা

পাবনা সংবাদদাতা: মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি উপপরিচালকের কার্যালয়ে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায়, গ্যাপ ইউনিট বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আয়োজনে কাঁচাপেঁপে’র (এঅচ) প্রটোকল ভ্যালিডেশন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এঅচ (এড়ড়ফ অমৎরপঁষঃঁৎধষ চৎধপঃরপবং) উত্তম কৃষি চর্চা সমন্বয় সভা উপস্থিত ছিলেন পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা, হর্টিকালচার উইং এর (কন্দাল, সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল) উপপরিচালক, কৃষিবিদ মোহাম্মদ সফিউজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদ হাসান, পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ মো. আব্দুল মজিদ ও আটঘরিয়া উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সজিব আল মারুফ অনান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত ড. যাকীয়াহ রহমান মনি (পুষ্টি ইউনিট) ও সদস্য

সচিব (এঅচ ইউনিট) তিনি তার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় জানান, গ্যাপ এর উদ্দেশ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পূর্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ সহনশীল ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ স্বাধন খাদ্য শূঙ্খলের সকল স্তর সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি সমূহ অনুসরণ করা, ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মান সম্পন্ন উচ্চমূল্য ফসলের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা।

প্রতি নিয়ত আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরণের ফল এবং সবজির ফলন বেড়েই চলেছে। তাই সময় এসেছে এখন এসব সবজি এবং ফল বিদেশে রপ্তানী করার। আর এর জন্য যে জিনিসটি খুবই জরুরি তা হলো গুড এগ্রিকালচারাল প্রাকটিসেস বা গ্যাপ (এঅচ)। আমাদের উর্বর জমিতে বাংলাদেশের জন্য গ্যাপ (এঅচ) অনুশীলন বা বাস্তবায়ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি বাস্তবাায়ন করার জন্য যা দরকার। কৃষকরদেরকে ভালো করে বুঝিয়ে বলা প্রশিক্ষন দিয়ে এবং বাস্তবে উৎপাদন করে দেখিয়ে দেওয়া তাহলে আধুনিক কৃষির এ কৃষি টেকনলজি খুব সহজেই কৃষক গ্রহণ করবে। গুড এগ্রিকালচারাল প্রাকটিসেস অনুশীলনে অনেক যতœশীল হতে হয়। এক্ষেত্রে ক্রপ প্রোডাকশনের সকল ধাপ অনুসরণ করতে গেলে কৃষকের অনেক শ্রম এবং অর্থ ব্যয় হবে। কৃষক সেই ফসল বেশি দামে কোথায় বিক্রি করতে হবে। তাই এমন উপায় বের করতে হবে যাতে বিদেশীরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষকদের দ্বারা উৎপাদন করে নিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে তারা সকল ধরণের সহায়তা দিবে এবং উৎপাদিত ফসল নিয়ে যাবে। এর ফলে কৃষক লাভবান হবেন এজন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রকল্প বাস্তবায় করতে যাচ্ছে। এছাড়াও সমন্বয় সভায় কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মকর্তারা বিভিন্ন আলোচনা করেছে।

এ প্রকল্পের আওতায় সারদেশে ১০টি সবজি ও ৫ টি ফল গ্যাপ এর মাধেমে উৎপাদন শুরু হচ্ছে। পাবনাতে পেঁপে ভাল হওয়ায়। গ্যাপ এর মাধ্যেমে পেঁপে উৎপাদনের জন্য পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাচন করা হয়েছে। স্থান নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সঠিক আছে কিনা তা জানা ও দেখার জন্য আটঘরিয়ার উপজেলার বিভিন্ন মাঠ সকল কর্মকর্তা ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানিরা সরজমিনে মাঠ পর্যবেক্ষণ করে।

This post has already been read 1448 times!

Check Also

মাসকলাইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেশে

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী): বাংলাদেশে পতিত ও অব্যবহৃত জায়গাতেও পরিকল্পিতভাবে ফলমুল ও শাকসবজি চাষ করা …