বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি – পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, এজন্য জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি জরুরি। তিনি বলেন, অভিযোজন শুধুমাত্র স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয় বরং এটি আমাদের সকলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এই লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ -এর হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: এ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্যা ফিউচার শীর্ষক অধিবেশন পরিচালনা করার সময় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সাবের চৌধুরী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র ০.৪৮ শতাংশ হলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ শিকারের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে।  সুতরাং, সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখতে হবে… আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে।

সাবের হোসেন জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।  তিনি বলেন, ভবিষ্যতের প্রয়োজন মোকাবেলায় আমরা কীভাবে সক্ষমতা তৈরি করব? অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সেক্রেটারি সাইমন স্টিল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং  ফিলিপাইন ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিশন প্রেসিডেন্টের অফিসের পরিচালক

রবার্ট ই.এ.  বোর্জে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 1516 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …