রবিবার , সেপ্টেম্বর ৮ ২০২৪

উদ্ভাবনে কৃষকেরা উপকৃত হবেন ও ফসলের উৎপাদন বাড়বে- কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিং এর মাধ্যমে কৃষকেরা উপকৃত হবেন। কারণ উৎপাদনের জন্য যে আধুনিক ও কৌশলগত জ্ঞান প্রয়োজন, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকেরা জানতে পারবেন। এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি হবে, কৃষকের গোলা আরো সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরো সুসংহত হবে।

বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার ফলে কৃষি বিষয়ে কৃষকদের তেমন কোন অভিযোগ নেই। বাজেটে ঘাটতি বা যে সমস্যাই থাকুক, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষিখাতে যেসব নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আছে, তা আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আমাদের জোর দিতে হবে।

কৃষিখাতে বাজেট আরো বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, আমাদের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদেরকে প্রতিদিনের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি উদ্ভাবনের দিকেও নজর রাখতে হবে। কী উদ্ভাবন করলে বা নতুন উদ্যোগ নিলে দেশের কৃষকেরা আরো বেশি করে উপকৃত হবে, ফসলের আরো উৎপাদন বাড়বে- সেদিকে আরো মনোনিবেশ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ফারজানা মমতাজ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ও অন্যান্য সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গৃহীত উদ্ভাবন প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মামলা ও সম্পত্তির স্মার্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্মার্ট রাইস প্রোফাইল মোবাইল অ্যাপ, বিএডিসির সেচ চার্জ আদায় পদ্ধতি ডিজিটালাইজকরণ, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির আইওটি ভিত্তিক মাটিছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইওটি ভিত্তিক প্রিপেইড মিটার ফর স্মার্ট ইরিগেশন প্রভৃতি।

আইওটি ভিত্তিক মাটিছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং উদ্ভাবনের জন্য জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।

This post has already been read 900 times!

Check Also

বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে জলঢাকার কৃষকদের

বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে প্রান্তিক কৃষকদের।কম খরচে …