বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

প্রযুক্তি বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি খাতকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তোলা সম্ভব -পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

মো. দেলোয়ার হোসেন (টি,পি) : কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে এদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্ন। কৃষি বিপ্লবের রুপকার বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষিকে কর্মসংস্থানের বড় খাত হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন ভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষি প্রযুক্তি প্রবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপের কথা জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব মো. শহীদুজ্জামান সরকার, এমপি।

তিনি বলেন, কৃষিতে আধুনিকায়নে কৃষি যন্ত্রপাতি এখন ভর্তুকি দিয়ে কৃষক সংগঠনের মাধ্যমে কৃষকের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে কৃষক তার ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন উৎপাদন ব্যয় কমেছে আবার অন্যদিকে ঠিক তেমনি শ্রমিক সংকট মোকাবিলা করে সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারছে। তাই তিনি মেলায় আগত কৃষকদের লক্ষ্য করে বলেন মেলায় যেসকল প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা গ্রহন এবং তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে আরো উন্নয়নের আহবান জানান।

গত শনিবার (২৫ মে) আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগ কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে কৃষি প্রযুক্তি মেলা/২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  আসমা খাতুনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও ৪৭ নওগাঁ-২ (ধামইরহাট ও পত্নীতলা) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী ও পৌরসভার মেয়র মো. আমিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধামইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. তৌফিক আল যোবায়ের। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসাণের মাধ্যমে কৃষির বৈপ্লবিক পরিবর্তন করা সম্ভব। আর এই প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে পৌছে দেয়ার উপর্যুক্ত মাধ্যম হলো মেলা। তাই মেলায় কৃষকের সার্বিক উপস্থিতির মাধ্যমে প্রর্দশিত প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন। তিনি কৃষকদের মেলায় সর্বাত্বক ভাবে উপস্থিত হয়ে প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক গ্রহনের অনুরোধ জানান।

সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রেও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। যা ফলে  কৃষি এখন উন্নয়নের চুরান্ত শিখরে পর্দাপণ করেছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মেলায় সকলের ব্যাপক উপস্থিতি কামনা করেন।

ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন এবং আলোচনা পর্ব শেষে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ২০০ জন কৃষকের মাঝে প্রতি এক বিঘা জমির জন্য ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ২০ কেজি এমওপি সার এবং কীটনাশক বিতরণ করা হয়।

৩ দিন ব্যাপি মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এসিআই কোম্পানী, ভার্মি কম্পোষ্ট ও নার্সারীসহ ১৫ টি ষ্টল প্রদান করে নিজ নিজ প্রযুক্তি সম্পর্কে তুলে ধরেন। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় সাতশতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 1495 times!

Check Also

কলাপাড়ায় পাটজাতীয় ফসলের আঁশ ও বীজ উৎপাদন বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিজেআরআই উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট ও পাটজাতীয় ফসলের আঁশ …