সিলেট সংবাদদাতা: সিলেটে USAID Feed the Future Bangladesh Policy Link Agricultural Policy Activity প্রোগ্রামের আওতায় দিনব্যাপী Regional Validation Workshop on National Agricultural Mechanization Policy সিলেট এর অভিজাত হোটেল রোজ ভিউ এর সেমিনার কক্ষে বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়।
এগ্রিকালচারাল মেকানাইজেশনের নীতিমালার ২০২০ এর পর্যালোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ইস্যুভিত্তিক আলোচনা ও নীতিমালার পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছানোর উদ্দেশ্য আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কৃষিবিদ ড.মো. সাহিনুল ইসলাম, পরিচালক, প্রশাসন ও অর্থ ইউং ডিএই, ঢাকা। তিনি বক্তব্যে বলেন-কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের এর বিকল্প নেই; কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। পাশপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে মাঠ পর্যায়ে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আগমনে সেনসর, আইওটি এবং কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা সক্ষম ডিজিটাল প্রযুক্তি কৃষি উন্নয়নে অনিবার্য। তাই কৃষি যান্ত্রিপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানী, ব্যবহার, বিক্রয়, বিক্রয়ত্তোর সেবাপ্রদান, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণসহ সমস্ত কিছু সুনির্দিষ্ট নীতির আলোকে নিয়ে এসে অগ্রসরের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. মতিউজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, সিলেট অঞ্চল, সিলেট।
খালেদা আক্তার, সিনিয়র ম্যানেজার, পলিসি এক্টিভিটি এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন-কর্মশালার বিশেষ অতিথি ছিলেন ফীড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি লিংক এগ্রিকালচারাল পলিসি এ্যাক্টিভিটি এর কান্ট্রি লীড ফাহিম খান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মুনজুরুল আলম, সিনিয়র ম্যানেজার তাহসিন রহমান, সিনিয়র ম্যানেজার, পলিসি লিংক, মামুনুল ইসলাম, ম্যানেজার, পলিসি লিংক।
কর্মশালায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি সমৃদ্ধিকরণের কী-নোট উপস্থাপনা করেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসালটেন্ট এন্ড প্রফেসর মো. মুনজুরুল আলম।পরে উপস্থাপনার উপর ৪ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগত পর্যালোচনা ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পর্যালোচনা হতে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় সাধন, প্রয়োজন অনুযায়ী গবেষণা, কৃষি যান্ত্রিপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানী শুল্ক বাড়ানো, স্বল্পসুদে উৎপাদনকারীদের ঋণ প্রদান, দেশীয় করখানায় উৎপাদিত পন্যের গুনগতমান যাচাই ও প্রত্যয়ন প্রদান, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং যান্ত্রিকীকরণে “ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিতসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয় উত্থাপিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটাক, মৎস ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি যান্ত্রিপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ ৮০ জন উপস্থিত ছিলেন।