টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: ”আপনারা স্বাধীন পোলট্রি খামারি হবেন, কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত ব্যবসা করে যাচ্ছে, তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না”। খামারিরা মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যের উর্দ্ধগতির বিষয়ে অবগত করলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উক্ত পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ হল রুমে “দেলদুয়ার উপজেলার পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায়” প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের খাদ্য প্রাণীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যা খাই সবজি, ফল বা মাছ- মাংস এর মধ্যে থেকে যাওয়া এন্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট হয়ে গেছে। যার ফলে রুগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করছেনা।
খামারিরা কোম্পানি থেকে মাছ- মুরগির খাদ্য না কিনে খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর যেকোন প্রয়োজনে খামারিদের পাশে থাকবে।
উপদেষ্টা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, নদী-নালা-খাল- বিল ভরাট হলে কিভাবে কাজ করা যাবে? এগুলো বাঁচাতে প্রয়োজনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করবেন মর্মে মতবিনিময় সভায় আশ্বস্ত করেছেন। তিনি অবৈধভাবে নদী-নালা-খাল- বিল দখলদারদের বিরুদ্ধে স্হানীয় প্রশাসনকে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
ফরিদা আখতার আরো বলেছেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে এবং এর ফলে নারীরা অনেকক্ষেত্রেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা আবদুল্লাহ আল-নূরের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও পঞ্চাশ জন প্রাণিসম্পদ খামারি ও চল্লিশ জন মৎস্য খামারি এসময় উপস্থিত ছিলেন।