শুক্রবার , অক্টোবর ১৮ ২০২৪

ডিম ও মুরগির বাজার স্থিতিশীলতায় দরকার  “জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড” গঠন

কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার : পোল্ট্রি শিল্পের সাথে আন্ত:মন্ত্রনালয়, আন্ত:অধিদপ্তর  এবং উৎপাদন ও বিপননে ডজনের উপরে স্টেকহোল্ডারস যুক্ত এদের নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয় করবে কে?

পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এর উন্নয়ন ও বিকাশের কার্য্যক্রম এক জায়গা থেকে সমন্বয় করা জরুরি। কারণ – পোল্ট্রি ফার্মিং লাইসেন্স দেয় প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর, দাম ঠিক করে কৃষি বিপনন অধিদপ্তর, বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় – এগুলো হলো মোটা দাগের কথা। এর বাইরে বিদ্যুৎ, কলকারখানা, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য, ঔষধ প্রশাসন, পরিবেশ, বিনিয়োগ বোর্ড, এনবিআর, ট্যারিফ কমিশন এমন আরো অনেক কর্তৃপক্ষ জড়িত।

আপনারা জানেন কি কতগুলো মতো মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর পোল্ট্রি শিল্পের সাথে যুক্ত? (লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যনির্ধারণ, সম্প্রসারণ) মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও স্টেকহোল্ডার যে যার মত সিধান্ত নেয়- ফলে উৎপাদন, বিপণন ও আমদানি, কোয়ালিটি কন্ট্রোল এ ওয়ান-স্টপ সেবা পাওয়া জটিল আকার ধারণ করেছে।

যদি “জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড” গঠন করা হয় তাহলে বোর্ডে সকল স্টেকহোল্ডার,অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। একই জায়গা থেকে পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ও নীতিমালা বাস্তবায়ন, উৎপাদন ও ভোক্তা কল্যান এবং স্থিতিশীল ডিম -মুরগির বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

আমরা যদি বর্তমান পোল্ট্রি বাজারের অস্থিতিশীল অবস্থাকে বিবেচনায় আনি, তাহলে অতি সহজে অনুধাবন করতে পারব “জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড” গঠন করা শুধু সময়ের দাবি নয়,অতীব জরুরিও বটে।

লেখক:

  • পোল্ট্রি সাপ্লাই চেইন স্পেশালিষ্ট;
  • ই সি মেম্বার, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বি পি আই এ)
  • সমন্বয়ক, পিপিবি।

This post has already been read 207 times!

Check Also

মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুষম সার ব্যবহারের গুরুত্ব

কৃষিবিদ ড. এম আব্দুল মোমিন : আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষকই জমিতে বা মাটিতে বিভিন্ন ফসল …