মো. আমিনুল ইসলাম : ‘ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই, ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান- ২০২৪ উদযাপন হয়। এ উপলক্ষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এক র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসলে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ ইঁদুর নিধন অভিযানের স্টল পরিদর্শন করেন।এছাড়া চত্বরে ইঁদুর মেরে দমন অভিযানের উদ্বোধন করেন।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশে ইঁদুর সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন তথ্য তুলে ধরেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.পলাশ সরকার।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান, ইঁদুর নিধনে বিশেষ অবদান রাখায় রাজশাহী অঞ্চল থেকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত কৃষক মতিটুডু।
অতিথিগণ বলেন, ইঁদুর প্রাণীটি ছোট হলেও নীরব ধ্বংসকারী প্রাণী। এরা যে কোনো খাদ্য খেয়ে, যে কোনো পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ইঁদুরের সামনের দাঁত জন্ম থেকেই বাড়তে থাকে; ইঁদুর যে পরিমাণ ভক্ষণ করে তার দশগুণ কেটে নষ্ট করে। এককথায় ইঁদুর মাঠঘাট, ঘারবাড়ি সবখানেই ক্ষতি করে। আমাদের দেশে বর্তমানে সারা বছর ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। এর ফলে ইঁদুর মাঠেই খাদ্যপাচ্ছে। একটি ইঁদুর বছরে ৫০ কেজি গোলাজাত শস্য নষ্ট করে। ইঁদুর শুধু বাংলাদেশে ৫০-৫৪ লাখ লোকের এক বছরের খাবার নষ্ট করে। শুধু তাই নয় এদের মলমূত্র, লোম খাদ্য দ্রব্যের সাথে মিশে টাইফয়েড, জন্ডিস, চর্মরোগ ও ক্রিমিরোগসহ ৬০ ধরনের রোগ ছড়ায়। প্লেগ নামক মারাত্মক রোগের বাহক হচ্ছে ইঁদুর।
আলোচনা সভায় সভাপতি বলেন, আমদের ফসল ও সম্পদের ক্ষতি রোধ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের স্বার্থে ইঁদুর সমস্যা কে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্ষেত-খামার, বসতবাড়িসহ সর্বত্র ইঁদুরমুক্ত করার লক্ষ্যে ইঁদুর নিধনে আমাদের সর্ব স্তরের মানুষের প্রচেষ্টা নিতে হবে।