বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় মাঠের যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজের সমারোহ। ধানের চারা থেকে বের হওয়া শিষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। তা দেখে মন ভরে উঠছে কৃষকের।সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিদের স্বপ্ন। মাঠ জুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি।
চলতি মাস থেকে উপজেলার কৃষকরা আগাম ধান কাটা শুরু করেছেন।ধান কাটা শেষ হলেই সেই জমিতে আগাম জাতের আলু,ভূট্টা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কার্তিকের শেষের দিকে পুরোদমে রোপা-আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবেন তারা। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে রোপা-আমন আবাদ ভালো হয়েছে। আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় চলতি রোপা-আমন মৌসুমে ২২ হাজার ৯শ ৩৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ করা হয়। এ মৌসুমে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৭৪৯ মেট্রিক টন।চলতি মৌসুমে মাঠে অন্য সব বছরের চেয়ে ধানের শীষ ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক সন্তোষ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি হয়।ফলে ধানের চারার ভালো ফলন হয়েছে। তাই আশা করা যায় বাকি সময়ে যদি কোনো দুর্যোগ না হয়, ভালোভাবে ধান তুলতে পারলে লাভবান হতে পারি।আরেক কৃষক সেরাজুল ইসলাম জানান, গতবারের চেয়ে এবার বাজারে ধানের দামও ভালো। সেদিক থেকে অনেকটা লাভবান হওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন,জলঢাকায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আমনের ভালো ফলনে সবুজের সমারোহে পরিণত হয়েছে।মৌসুমের শুরু থেকে আমন ধানের রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে উঠাক বৈঠক করা হচ্ছে এবং ২০ হাজার লিফলেট ছাপানো হয়েছে।যা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকের হাতে দেয়া হচ্ছে। ফলে আমন ধানে রোগবালাই কম দেখা যাচ্ছে।তাই এবার ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।’