মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী): বাংলাদেশে পতিত ও অব্যবহৃত জায়গাতেও পরিকল্পিতভাবে ফলমুল ও শাকসবজি চাষ করা যায়। এছাড়া শস্যপর্যায় অবলম্বন করে দানা জাতীয় ফসলের পরে সরিষা বা মাসকলাই চাষ, আঁশ জাতীয় ফসলের পরে দানা জাতীয় ফসল চাষ করেও লাভবান হওয়া যায়। আমাদের দেশে মাসকলাইয়ের জনপ্রিয়তার দিক থেকে ২য় স্থান লাভ করেছে। মাসকলাইয়ের আধুনিক জাত কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক আবাদ হলে দেশে ডালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
গত ১২ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ গোমস্তাপুর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্লাস্টার আকারে বাস্তবায়িত মাসকলাই মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাসকলাই একক ফসল হিসেবে সেরকম চাষ না হলেও অন্যদিকে সাথী ও আন্তঃফসল হিসেবে, রাস্তার ধারে , পুকুর পাড়ে, জমির আইলে ও আমাদের কৃষকের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি অধিক পরিমানে ডাল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করতে উপস্থিত কৃষকদের অনুরোধ করেন। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাকে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করার আহবান জানান।
মাঠ পরিদর্শনের সময় গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তানভির আহমেদ সরকার, গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সেরাজুল ইসলাম , উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।