চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: দেশের পরিবেশ সংকটাপন্ন অন্যতম উপকুলীয় এলাকা চট্টগ্রাম বিভাগে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা, জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক প্রকল্প বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের প্রসারে ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট গঠিত হয়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে এই উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্ট সাইন্স এর অধ্যাপক ড. খালেদ মিজবাহউজ্জমানকে আহবায়ক ও দি বিজনেস স্টান্ডার্স এর চট্টগ্রামের ব্যুর্যো চীপ ও জলবায়ু পরিবর্তন যোদ্ধা শামসুদ্দিন ইলিয়াসকে সদস্য সচিব করে এই ফোরাম গঠন করা হয়।
বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক(ক্লিন), বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) এর উদ্যোগে ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, চট্টগ্রাম গঠন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্ট সাইন্স এর অধ্যাপক ড. খালেদ মিজবাহউজ্জমান, দি বিজনেস স্টান্ডার্স এর চট্টগ্রামের ব্যুর্যো চীপ শামসুদ্দিন ইলিয়াস, চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, দৈনিক পূর্বদেশের বার্তা প্রধান আবু মোশারফ রাসেল, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেল এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় সদস্য মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, নারী নেত্রী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব জামালখানের সভাপতি সালাহউদ্দীন আহমদ, চান্দগাঁও ল্যাবরেটরী অ্যান্ড পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের যগ্ন সম্পাদক সাঈদুর রহমান মিন্টু, দৈনিক পূর্বদেশের স্টাপ রিপোর্টার এম এ হোসেন, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, ছাত্র নেতা রাসেল উদ্দীন, সিদরাতুল মুনতাহা, তানিয়া সুলতানা, রায়হান উদ্দীন, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর মেন্টর আবু হাসান আজমী ও আইএসডিই’র সিএসও রাইসুল ইসলাম প্রমুখ।
সভার জানানো হয়, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটাপন্ন অঞ্চল হিসাবে এখানে জ্বালানী খাতে অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছে যেখানে পরিবেশের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। সেকারনে সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় অতিদ্রুতই সংকাপন্ন এলাকা হিসাবে আর্বিভুত হবে। এরবাইরে চট্টগ্রামে পাহাড়কাটা, নদী দূষন ও দখল, লনাক্ত পানির ক্রমাগত বৃদ্ধি এলাকার জনগনকে হুমকির মূখে ফেলে দিচ্ছে। এরবাইরে দেশের
অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহনের কারনে এসংকট আরও ঘনিভূত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানী ভিত্তিক প্রকল্পের জন্য জ্বালানী আমদানিতে বিপুল বৈদশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। তাই এই জ্বীবাশ্ম জালানীভিত্তিক প্রকল্পের ক্ষতিকারক বিষয়ে প্রচারণা চালাবে এবং সরকারকে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক সব প্রকল্প বাতিল করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচারণা চালানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সভায় ২০১০ সালের বিশেষ আইনের অধীনে কোনো রকম দরপত্র মূল্যায়ন ছাড়াই গৃহীত ৭৮টিরও বেশি প্রকল্প বন্ধ করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে এই আইনটি বাতিল করে ৩১টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানানো হয়।
সভায় পরিবেশবাদী সংগঠন, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা ফোরামের সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত রয়েছেন। পরবর্তীতে আরও সদস্য /সদস্যা অর্ন্তভুক্ত করা হবে।