বুধবার , ফেব্রুয়ারি ৫ ২০২৫

রাজশাহীতে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে “অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প (২য় সংশোধিত)” এর আওতায় দিনব্যাপী এক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (রাজশাহী) আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কৃষি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করে কৃষকদের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের মধ্যে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের অনাবাদি পতিত জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টিকর শাক-সবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য চাষের সুযোগ দেওয়া হবে, যা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

কর্মশালায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. পলাশ সরকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মোতালেব হোসেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে সালমা, নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: আব্দুল ওয়াদুদ ও নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী। এরপর অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে পুষ্টি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা কেন্দ্র রংপুর এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাদেকুল ইসলাম।

অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের বাড়ির আশেপাশে, পুকুর পাড়ে, প্রতিষ্ঠানের পতিত ফাঁকা জায়গায়, বাড়ির ছাদে যদি আমরা পারিবারিক পুষ্টি বাগান করতে পারি তাহলে অনায়াসে আমরা পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারি। কমার্শিয়াল সবজি উৎপাদন করতে গিয়ে সেগুলোকে সঠিক ভাবে নিরাপদ রাখতে পারি না। তবে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে সবজি উৎপাদন করলে কেমিক্যাল ব্যবহার এর সুযোগ থাকে না। আমাদের প্রজন্মদের সুস্থ্য রাখতে হলে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে সবজি উৎপাদন এর বিকল্প নেই। একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায় আবার বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা যায় । সেই সাথে মহিলা ও বেকার কিশোরীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, সিনিয়র মনিটরিং অফিসার, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান), অতিরিক্ত উপ পরিচালক (পিপি), অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), উপজেলা কৃষি অফিসার,, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ধান গবেষণা, এসআরডিআই, ফল গবেষণা, গম ও ভূট্টা গবেষণা, বিএডিসি, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 24 times!

Check Also

যুগের সাথে কৃষিকে এগিয়ে নিতে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম-  কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিচালক

মো. গোলাম আরিফ (পাবনা) : কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ মো. মসীহুর রহমান বলেন, তথ্যই …