বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার আলু মালেশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে।সানশাইন,সান্তানা,কুইনঅ্যানি, সেভেন, কুমারিকাসহ কয়েকটি জাতের আলু বিদেশে যাওয়ায় আলুর দাম নিয়ে এই দুঃসময়ে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।এরেই মধ্যে এ উপজেলা থেকে প্রায় ৮০ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে।এসব আলু দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশি চিপস কোম্পানীগুলো রপ্তানিকৃত আলু কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
নিজের দেশের আলু বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় খুশি এই উপজেলার সাধারণ কৃষকেরা।টেঙ্গনমারী বটতলার কৃষক দিজেন্দ্রলাল জানান,এবার আলু চাষে মন খারাপ,অনেকের খরচও উঠছে না।বর্তমানে পাইকাররা ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।আলু বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তারা আশার আলো খুঁজছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,এবার জলঢাকায় ৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭১ হাজার ২ শত ২৬ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে।বিদেশে চার থেকে পাঁচ হাজার আলু রপ্তানি হতে পারে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এগ্রোটেক বিডির জুনিয়র ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন সাজু বলেন,এই উপজেলা থেকে আমরা কৃষক পর্যায়ে আলুর কেজি ১২-১৩ টাকা করে নিচ্ছি।আশা করা যায়,চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আলু চাষীরা আরও দাম পাবে।তিনি আরও জানান,এই অঞ্চল থেকে আলুর পাশাপাশি তারা বাঁধাকপি ও মিষ্টি কুমড়াও বিদেশে রপ্তানি করছেন।কৃষকদের সুবিধার্থে তারা মাঠ থেকেই আলু গাড়িতে লোড করে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ বলেন,চাহিদার তুলনায় অধিক আলু চাষ করায় বাজারে কিছুটা আলুর দরপতন হয়েছে।আলু চাষীদের বড় খবর হলো,এই অঞ্চলের আলু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।আলুর পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া,পাতা কপি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।