নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বিনামুগ-৮’র মাঠ দিবস আজ (১৫ এপ্রিল) বরিশাল সদরের হিজলতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত বারি মুগ-৬’র সাথে প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন এবং আবাদ সম্প্রসারণ বিষয়ক এই মাঠ দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার এবং উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, বিনার সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী এনায়েত হোসেন, কৃষক ইউছুব আলী হাওলাদার, মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মুগ দেশের অন্যতম ডালফসল। আর চাষাবাদের জন্য বরিশাল এর জনপ্রিয় অঞ্চল। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই দক্ষিণাঞ্চলে এর উৎপাদন বাড়াতে বিনামুগ-৮ যথেষ্ট সহায়ক হবে। কেননা, এই জাতের ডাল প্রথমবারেই শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি শস্য তোলা যায়। যদিও বারি মুগ-৬’র ক্ষেত্রে ততটা সম্ভব নয়। এছাড়া জাতটি খরা সহ্য করতে পারে। জীবনকালও কম। ফলন হয় আশানুরূপ। তাই সুষ্ঠু সার প্রয়োগ এবং সময়মত যত্নআত্তি করলে হেক্টরপ্রতি ২ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।
তিনি জমিতে সার ব্যবহার সম্পর্কে বলেন, কেউ কেউ একই ফসলের জন্য ডিএপি এবং ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে থাকেন, যা ঠিক নয়। যেহেতু উভয় সার নাইট্টোজেন সরবরাহ করে, তাই ডিএপি দিলে ইউরিয়া দেয়ার প্রয়োজন নেই। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন জানান, বিনা উপকেন্দ্র এবার বরিশাল অঞ্চলের জন্য প্রদর্শনী এবং বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকের মাঝে বিনা মুগ-৮’র ২.৬ টন বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর দক্ষিণাঞ্চলের ২,০০,৫০৩ হেক্টর জমির মধ্যে বরিশালে মুগডালের উৎপাদন হয়েছে ২৪,৬০০ হেক্টর, পিরোজপুরে ৭,১২৩ হেক্টর, ঝালকাঠিতে ২,৬২৭ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৮৮,৮৯১ হেক্টর, বরগুনায় ৪৮,৬০৭ হেক্টর এবং ভোলায় ২৮,৬৫৫ হেক্টর।