আশিষ তরফদার (পাবনা): কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আটঘরিয়া পাবনা’র রাজস্ব প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত আউশ ব্রি ধান -৪৮ প্রদর্শণীর মাঠ দিবস কয়রাবাড়ি গ্রামে রবিবার (৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ. রোখশানা কামরুন্নাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আজাহার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সরকারসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরে আলম।
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ মো: আজহার আলী বলেন, বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে অভূত পূর্ব সাফল্য রচিত হয়েছে। সরকারের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে চাষাবাদ যা একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। যথাসময়ে কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা প্রদান এবং কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কৃষিতে এক যুগান্তকারী উন্নয়নলক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি কৃষকদের ব্রি ধান-৪৮ জাতের ধান আবাদের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, রোপা আউশ ঘরে তোলার পর কৃষক অনায়াসে রোপা আমন আবাদ করতে পারবেন। এ জাতের চাষাবাদে ভূ-গর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ হবে এবং ফসল ভাল পাওয়া যাবে। এতে করে পরিবেশ ভাল থাকবে। জাতটি যেহেতু উচ্চ ফলনশীল কাজেই কৃষক সমাজ এ জাতের ধান আবাদে বেশী লাভবান হতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তাগণ বলেন বৃষ্টি নির্ভর ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এ জাতের ধান চাষ কৃষকের জন্য খুবই লাভজনক। এ জাতের চাষ করলে ফলনের পাশাপাশি খুব সহজেই শস্য নিবিড়তা বাড়ানো সম্ভব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আদর্শ কৃষক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, এই উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদে সময় ও অর্থ কম লাগে তাই উপস্থিত কৃষকগনকে এ জাতের ধান চাষের জন্য আহ্বান জানান। আগত চাষীদের সকলেই এ জাতটি আবাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণী।